পৃথিবীতে কত অদ্ভূত ঘটনাই না ঘটে প্রতিদিন। তার মধ্যে কিছু ঘটনা মানুষের কল্পনাকেও হার মানায়। তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের কাশীপুর অঞ্চলে। সেখানে একটি হাঁস এবং মুরগির লড়াইয়ে মারা গেছে মুরগিটি।
বিষয়টি এক ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসেবে এখানেই শেষ হতে পারতো। কিন্তু হাসঁ-মুরগির এই লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে মানুষও। কাশীপুর অঞ্চলের একটি পরিবার। বলা হচ্ছে, এই ঘটনায় নাকি আসলে ভাতিজার হাঁস ‘খু*ন করল’ চাচার মুরগিকে! এই মর্মে অভিযোগও দায়ের হয়েছে কাশীপুর থানায়!
চাচার অভিযোগ, মোটেই আর পাঁচটি সাধারণ মৃত্যুর মতো নয় এই বিষয়টি। রীতিমতো পরিকল্পনা করেই প্রতিবেশী ভাইপো নিজের হাঁস দিয়ে তার সাধের মুরগিটিকে মেরে ফেলেছেন। তাই এর সুবিচার চেয়ে সটান কাশীপুর থানায় হাজির হয়েছেন চাচা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কাশীপুর থানার চালতাবেড়িয়া পঞ্চায়েতের বামুনিয়া গ্রামের বদ্যিপাড়ায় বাড়ি মোহাম্মদ আলি মোল্লার। স্ত্রী তসলিমা বিবি ও এক পুত্রসন্তান ছাড়া তার সংসারে রয়েছে দুটি গরু আর কয়েকটি মুরগি। অত্যন্ত যত্ন নিয়েই তিনি মুরগি প্রতিপালন করছেন।
মোহাম্মদ আলি মোল্লার অভিযোগ, আমার বাড়ির পাশে ভাতিজা শরিফুল মোল্লার বাড়ি। আমার মুরগি পোষা দেখে ভাইপো হাঁস পুষছে। হাঁসগুলো খুবই হিংস্র। আমার মুরগি উঠানে ঘুরে বেড়াচ্ছে দেখলেই হাঁসগুলো তেড়ে আসে। ভাতিজা ও তার স্ত্রী এর জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
দুপুরে ভাতিজার একটি হাঁস আমাদের বাড়িতে এসে আমার মুরগিকে আক্রমণ করে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। ভাতিজা তখন সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল। সে কোনো বাধা দেয়নি। অনেক চেষ্টা করেও পরে আমার আহত মুরগিটিকে বাঁচাতে পারিনি। এ নিয়ে ভাতিজাকে বলতে গেলে সে গালাগাল করে। তার হাঁস দিয়ে আমার বাকি মুরগিগুলো মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। আমি খুবই আতঙ্কে আছি।’
সোমবার সন্ধ্যায় ওই চাচা বিষয়টি নিয়ে পাড়ার মুরব্বি ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। স্থানীয় উপপ্রধানের কাছেও যান। কিন্তু তারা বিষয়টিতে কোনো সমাধানসূত্র বের করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। তখনই চাচা কাশীপুর থানায় গিয়ে সোজাসুজি থানার বড়বাবুর কাছে অভিযোগ জানান।
মোহাম্মদ আলি মোল্লা দুঃখ করে বলেন, কয়েকদিন পরেই মুরগিটা ডিম পাড়তো। টানা দুই বছর কম করে কয়েকশো ডিম দিতো মুরগিটি। কিন্তু তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল। বৃদ্ধার অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে কাশীপুর থানায় মঙ্গলবার ডেকে পাঠানো হয় অভিযুক্ত শরিফুল মোল্লাকে। দুই দিনের মধ্যে তাকে ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে বলা হয়েছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment