কোটা সংস্কার এবং ছাত্র-জনতার অসহযোগ আন্দোলনের সময় চুপ ছিলেন আশনা হাবিব ভাবনা। তবে আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের রক্তাক্ত ছবি এঁকে ছাত্র-জনতাকে বোঝাতে চেয়েছিলেন তিনি আন্দোলনকারীদের দলে! ছবিটি তিনি প্রকাশ করেন গেল ১৭ জুলাই। যখন আন্দোলন রূপ নিচ্ছিল বৈষম্যবিরোধীতে।
এক দফা দাবিতে রাজপথ যখন উত্তাল, তখন অভিনেত্রী ভাবনা ছিলেন নিশ্চুপ। সক্রিয় না থাকলেও, ছিলেন আওয়ামী লীগের পক্ষে থাকা শিল্পীদের তালিকায়। ছিলেন গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও। ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে থাকা শিল্পীদেরকে তিনি জানান, তিনি কিশোরগঞ্জে আছে। তবে তার মন পড়ে আছে জয় বাংলায়।
গ্রুপে চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক বলেন, ‘আমি কিশোরগঞ্জে থাকার কারণে থাকতে পারছি না।’
তার কথার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে ভাবনা লিখেছেন, ‘আমরা একসঙ্গে কিশোরগঞ্জে থাকায় আসতে পারছি না। মনটা পড়ে আছে। জয় বাংলা।’
এদিকে, টক অব দ্য কান্ট্রিতে- এখন শিল্পীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। ‘আলো আসবেই’ নামের এই গ্রুপে নজর রাখা হতো ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ওপর। শুধু তাই নয়, সেখানে তারা আলোচনা করত কোথায়, কী করবে। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে খোলা এই গ্রুপের অ্যাডমিন ছিল সংসদ সদস্য ও অভিনেতা ফেরদৌস, নায়ক রিয়াজ, অভিনেতা সাজু খাদেম ও অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি।
বৈষম্যবিরোধী এই আন্দোলনে যারা ছাত্র-জনতার পক্ষে ছিলেন তাদের সবাইকে চিনে রাখতে বলেছিলেন নায়ক রিয়াজ। ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজের ব্যানারে থাকা শিল্পীদের একটি ছবি শেয়ার করে একথা বলেন তিনি।
গ্রুপটি তার কথোপকথন ছিল এমন- ‘কমেন্ট করার প্রয়োজন নাই, শুধু চিনে রাখি।’
এছাড়াও গ্রুপে থাকা সকল বন্ধুদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে আলো আসবেই। সময়টা আমাদের প্রতিকূলে। এই সময় কাউকে আঘাত করে বলা যাবে না বা করা যাবে না। যেকোন মূল্যে এই আন্দোলন দ্রুত থামাতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায়, একজন আরেকজনকে সাপোর্ট দিতে হবে। একজনের যে কোনো বিপদে সবাইকে একসঙ্গে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। সবাই মিলে এক আত্মা এক প্রাণ হতে হবে, তাহলে আমরা সবাই মিলে এ তুফান পাড়ি দিতে পারব।’
No comments:
Post a Comment