একযোগে বিয়ে করবেন ঢাবির জহুরুল হক হলের ছাত্ররা! - Newspaper24

Newspaper24

দেশ বিদেশের সব খবর সবার আগে।

Breaking

Home Top Ad

Saturday, 14 September 2024

একযোগে বিয়ে করবেন ঢাবির জহুরুল হক হলের ছাত্ররা!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘গণবিয়ে’। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে একযোগে বিয়ে করবেন ছাত্ররা। এমনটাই জানিয়েছেন গণবিয়ের উদ্যোক্তা আল আমিন সরকার। জহুরুল হক হলের আবাসিক এই ছাত্র সংবাদ মাধ্যমে কে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেক সময় বেকারত্বের কারণে চাইলেও বিয়ে করতে পারেন না। আমরা সেই প্রথাকে ভাঙতে চাই। প্রতিবাদ হিসেবে এই গণবিয়ের আয়োজন।’ আল আমিন বলেন, 'গণ-অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলমান অস্থিরতা দূর করতে ২০ সেপ্টেম্বর হলের সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি ভোজের আয়োজন রয়েছে। সেই ভোজকে কেন্দ্র করেই এই পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা। দ্রুতই বিভিন্ন দল গঠন করে কাজ ভাগ করে দেয়া হবে।’ জানা গেছে, গণবিয়েতে অংশ নিতে পাত্রকে অবশ্যই জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী হতে হবে। পাত্রীর ক্ষেত্রে এমন কোনো বাধ্যতামূলক নিয়ম নেই। বিয়ের জন্য দুপক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া উপস্থিত না থেকেও অনুমতি দিলে, তা গ্রহণযোগ্য হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে গণবিয়ে আয়োজনের বিষয়টি সামনে আসায় অন্য হলের শিক্ষার্থীরাও এতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন বলে জানিয়েছেন আল আমিন। এক্ষেত্রে বিয়ের অনুষ্ঠানটিকে আরও বড় পরিসরে করা যায় কি না সে বিষয়ে ভাবছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদের সঙ্গেও তাদের আলোচনা হয়েছে। আল আমিন বলেন, 'প্রক্টর উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন রাজি থাকে, তাহলে আরও বড় পরিসরে এই আয়োজন করা যেতে পারে।’ এরই মধ্যে ঢাবির হলে গণবিয়ে আয়োজনের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছে। অনেকেই তাদের সঙ্গী খুঁজে পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে সিভি পোস্ট করছেন। নিজের গুণাগুণ তুলে ধরে কেমন পাত্র বা পাত্রী চান সেটাও তুলে ধরছেন তারা। তবে বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুধরনের মনোভাবই দেখা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এদিকে, গণবিয়ের আয়োজন শিক্ষার্থীবান্ধব বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী নুরুজ্জামান শুভ। তিনি বলেন, ‘বিয়ে করতে অনেক খরচের দরকার হয়। ছাত্রাবস্থায় এই খরচ বহন করা কঠিন। এই গণবিয়ে বেশ শিক্ষার্থীবান্ধব বলে মনে করি। পরিস্থিতির কারণে যারা বিয়ে করতে পারছেন না তাদের জন্য এই আয়োজন বেশ উপকারী হবে।’ তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এমন আয়োজনকে নেটিজেনদের মশকারি হিসেবে দেখছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্রী মেহনাজ লামীশা রহমান। তার মতে, ‘এটা নেটিজেনদের মশকারি ছাড়া আর কিছুই না। বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে না আর শিক্ষার্থীরা গা ভাসাচ্ছে অহেতুক বিষয় নিয়ে।’ জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাইদুল কাদেরের মতে, আনন্দঘন এই আয়োজনকে আরও উপভোগ্য করে তুলতে গণবিয়ের কথা হচ্ছে। তবে হলের পরিবেশে এমন আয়োজন হওয়া উচিত না।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ে একটি পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি। সেই হিসেবে এটি রীতিমতো হওয়া উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো পড়াশোনার জায়গা। সেই পরিবেশে বিয়ের বিষয়টি বেমানান।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফারুক শাহ সংবাদ মাধ্যমেকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব আসেনি। আমার কাছে প্রস্তাব এলে বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে বসব। তাদের যুক্তিগুলো শুনব। তবে এখন পর্যন্ত হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

No comments:

Post a Comment