কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সাব- রেজিঃ অফিস দখল ও চাদাবাজি করার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা,দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আকবর আলি গ্রুপও দৌলতপুর ইউনিয়ন পদৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা গ্রুপের ভিতরে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
সংঘর্ষে তিন জন আহত হওযার খবর মিলেছে। আহতরা হলেন, দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ জাফর ইকবাল কর্নেল, দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মাসুম পারভেজ রতন, দৌলতপুর কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কৌশিক আহমেদ। তারা বতর্মানে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মো. জাফর ইকবাল বলেন, আমি তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক ও শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপির রাজনীতি করি কোন চাঁদাবাজি বা নৈরাজ্য বিশৃঙ্খলার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। কে বা কারা আমার নাম করে উপজেলা সাব- রেজিস্ট্রি অফিসে চাঁদা দাবি করেন, এ বিষয়ে আমি কোন কিছু অবগত নয় , তারপরও এই চাঁদাবাজি কে কেন্দ্র করে দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফার লোক জনের সাথে তর্ক বিতর্ক হয় , এক পর্যায়ে তারা আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমার নেতা-কর্মীরা আহত হন।
এ বিষয়ে দৌলতপুর সাব-রেজিস্ট্রার আনোয়ার হোসেন ও বিএনপির নেতাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
দৌলতপুর বিএনপির সভাপতি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন, এটা ওদের চাচা ভাতিজার পারিবারিক ঝামেলা এখানে দলীয় কোন বিষয় না তবে তারা সবাই বিএনপি করে। সংঘর্ষের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন ফোনে বলা সম্ভব না।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
No comments:
Post a Comment