এ এমন এক গ্রাম যেখানে সব ঘরেই রয়েছে যমজ সন্তান। এমন গ্রাম আর অন্য কোথাও নয়, রয়েছে ভারতেই। ভারতেই এমন গ্রাম আছে যেখানে প্রতি ঘরে ঘরে মেলে যমজ সন্তান। আজব এই গ্রামে একবার ঘুরে আসতেই পারেন, তাহলেই নিজের চোখে দেখতে পাবেন যমজ গ্রামে ঘরে ঘরে এক বয়সি একই রূপের সন্তানদের।
আমাদের এই পৃথিবীতে কত না আজব-কাণ্ড ঘটে। আবার অদ্ভুত জায়গাও রয়েছে এখানে। কেরলের মাল্লাপুরম জেলার কোডিনহি গ্রাম এমনই একটি জায়গা, যেখানে ঘরে ঘরে যমজ সন্তান জন্মায়। শুনলে বিশ্বাস হয় না, কিন্তু এটাই সত্যি। এই গ্রামের বেশিরভাগ শিশুই যমজ।
পরিসংখ্যান দিলে এই ধারণা আরো স্পষ্ট হবে। বিশ্বের ১০০০ শিশুর মধ্যে ৯টি যমজ জন্ম নিলেও, এই গ্রামে ১০০০ শিশুর মধ্যে ৪৫ জন যমজ জন্মগ্রহণ করে। কোডিনহি গ্করামে ৪০০ জোড়া সমজ সন্তান রয়েছে। এই সংখ্যাটি বছরের পর বছর বেড়ে চলেছে, তা বিস্মিত করেছে গবেষকদের।
কেরলের কোডিনহি গ্রামে ২০০০ পরিবারের মোট জনসংখ্যার মধ্যে কপক্ষে ৪০০ জোড়া যমজ রযেছে। ২০০৮ সালে একটি সরকারি স্তরে সমীক্ষা করা হয়। সেই সমীক্ষা অনুযায়ী ২৮০ যমজ সন্তানের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর সংখ্যাটা আরো বেড়েছে।
কেরলের এই আজব গ্রামে গেলে দেখা মিলবে একটি নীল বোর্ডের। এই নীল বোর্ডের উপর লেখা রয়েছে ঈশ্বরের যমজ গ্রামে স্বাগতম। তারপর লেখা গ্রামের নাম- কোডিনহি। কোগিনহি গ্রামের বাসিন্দারা এরপর বুঝতে পারেন, তাঁরা এ দেশে অনন্য। তাঁদের গ্রাম এ দেশে অনন্য।
প্রথম এ গ্রামের বাসিন্দারা খুব স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টিকে নিয়েছিল। যেমন য়মজ সন্থান জন্মে, তেমনই। কিন্তু একদিনের ঘটনা বড়োই বিস্মযকর। সামিরা ও পেমিনা নামে দুই যমজ সন্তান গ্রামেু একটি আইআইএসসি স্কুলে গিয়ে দেখেন, তাঁদের অষ্টম শ্রেণিতে রয়েছে ৮ জোড়া যমজ শিশু।
তারপরই জানা যায়, একটা ক্লাসেই যদি এত সংখ্যক যমজ থাকে, অন্য ক্লাসে বা অন্য স্কুলেও এমন আরো যমজ থাকবে। দেখা যায়, এমনটা পুরো গ্রামের কাছেই বিস্ময়কর। শুধু ওই দুই বোনের কাছে নয়, বিস্ময়কর ঠেকে অনেকের কাছে। তারপর যমজ সন্তান বা পড়ুয়াদের নিয়ে একটা সমীক্ষা করা হয়েছিল।
সমীক্ষায় দেখা যায়, তিন প্রজন্ম ধরে যমজ সন্তান একই হারে বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে এ গ্রামে। বিশ্বের গড়ের থেকে এই গ্রামের গড় অন্তত পাঁচ গুণ বেশি। তারপরই এই গ্রাম পরিচিতি পায় যমজ গ্রাম হিসেবে, যা ভারতের আজব গ্রামের মধ্যে একটি হয়ে ওঠে। তবে এর নেপথ্যে কী কারণ। সুস্পষ্ট নয়, কেন এ গ্রামেই এত যমজ!
No comments:
Post a Comment